২০০০ সালের পর থেকে, আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এক অভূতপূর্ব গতি প্রত্যক্ষ করেছি, যা আমাদের জীবনযাত্রা, কাজ করার পদ্ধতি এবং যোগাযোগের ধরণকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এই উদ্ভাবনগুলো শুধুমাত্র শিল্প ক্ষেত্রেই উন্নয়ন করেনি , বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
Smartphone Invention
২১শতকের সবচেয়ে পরিবর্তনশীল উদ্ভাবনগুলোর মধ্যে একটি হল স্মার্টফোন। যদিও মোবাইল ফোন ২০০০ সালের আগে থেকেই ছিল, ২০০৭ সালে আইফোনের উদ্বোধন সত্যিকার অর্থে যোগাযোগে বিপ্লব ঘটায়। স্মার্টফোন ফোন, ক্যামেরা, জিপিএস, এবং কম্পিউটারকে একক পোর্টেবল ডিভাইসে একত্রিত করে, যা আমাদের পকেটে প্রযুক্তির শক্তি এনে দেয়। অ্যাপের আবির্ভাবের সাথে, স্মার্টফোন যোগাযোগ, বিনোদন, কেনাকাটা, এবং এমনকি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় একটি অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। আজকের দিনে, এটি ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন।
Social Media Platforms:
Facebook (2004), Twitter (2006), Instagram (2010): এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম গুলো ২০১০ এর পর থেকে বর্তমানে সকল মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এবং বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদানের অন্যতম মাধ্যেম হয়ে দাঁড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, যা সামাজিক আন্দোলন থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করে।
The Internet of Things (IoT): Connecting the World
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হল Internet of Things (IoT)।
IoT হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইসকে (যেমনঃ Home Appliance, Transportation, Security ) একটি নেটওয়ার্কের আওতাধীনে রেখে ক্লাউড ষ্টোরেজের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা।
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স থেকে শুরু করে পরিধানযোগ্য ফিটনেস ট্র্যাকার পর্যন্ত IoT আমাদের চারপাশের বিশ্বে যোগাযোগের ধরণকে পরিবর্তন করেছে। এটি আমাদের জীবনকে আরও সুবিধাজনক এবং কার্যকর করেছে, দৈনন্দিন কাজগুলোকে স্বয়ংক্রিয় করে এবং তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করে। উৎপাদনভ, স্বাস্থ্যসেবা, এবং কৃষির মতো শিল্পগুলোতে, IoT দক্ষতা বাড়াচ্ছে, খরচ কমাচ্ছে, এবং ফলাফল উন্নত করছে।
Artificial Intelligence (AI) and Machine Learning
২০০০ সালের পর থেকে Artificial Intelligence বা AI এর ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনেকটাই অনুকরন করতে সক্ষম হয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন Data Collect বা Data processing এর ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। Artificial Intelligence (AI) এখন বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাবহারিত হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Natural Language Processing এর ক্ষেত্রে।
Natural Language Processing: Natural Language Processing এর এক অন্যতম উদাহরন হচ্ছে বর্তমান সময়ে সর্বাধিক ব্যাবহারিত ChatGPT. ChatGPT এর মাধ্যেমে অনেকটাই নির্ভুলতার সাথে মানুষের ভাষা কে বুঝতে পারে , ভাষা কে তৈরী করতে পারে এমনকি ভাষা কে Translate ও করতে পারে। বর্তমানে Natural Language Processing কে বিভিন্ন Chatbot, Virtual Assistant এবং Translator হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।
AI in Creativity: AI এখন বিভিন্ন Creative কাজে ব্যাবহারিত হচ্ছে যেমন বিভিন্ন গেমস Development , বিভিন্ন সংগীত তৈরীর কাজে, বিভিন্ন সাহিত্য লেখার কাজে, এমনকি বিভিন্ন সিনেমার তৈরীর Assistant হিসেবেও কাজ করছে AI.
Integration with IoT: AI এখন বর্তমানে IoT Technology ও ব্যাবহার হচ্ছে, IoT কে আরো বেশী স্মার্ট করার উদ্দেশ্যে . IoT বিভিন্ন ডিভাইসকে আরো বেশী Responsive করার ক্ষেত্রে এবং Smart Data processing এর ক্ষেত্রে AI ব্যাবহারিত হয়।
Cloud Computing:
Cloud Computing ডাটা সংরক্ষন, প্রসেস এবং এক্সসেস করার চিরাচরিত ধারা কে পরিবর্তন করে দেয়। পূর্বে যেখানে আমাদের ডাটা সংরক্ষনের জন্য বিভিন্ন physical infrastructure অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকারের হার্ডডিস্ক কে Carry করতে হত যা খুবই বিব্রতকর ছিল কিন্ত বর্তমানে আমাদেরকে এমনটা করতে হচ্ছে না। সকল ডাটা সকল সময় আমরা সাথে করে নিয়ে চলতে পারি শুধুমাত্র Online Access এর মাধ্যমে। বর্তমানে এই Technology বিভিন্ন সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাবহার করছে যেমনঃ Amazon Web Services (AWS), Google Cloud, and Microsoft Azure।
Wearable Technology :
আমরা এখন বিভিন্ন Wearable Technology এর সাথে নিত্য দিন প্রয়োজন পূরন করছে । আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের সুস্বাস্থ্য মনিটরিং এর লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের Smartwatch ব্যাবহার করছি। যা আমাদের Health কে সকল সময় মনিটর করে এবং আমাদের স্মার্ট ওয়াচে নোটিফিকেশনের মাধ্যেমে জানাতে থাকে আমাদের শারীরিক অবস্থান।
Drones:
ফটোগ্রাফি, কৃষি, নজরদারি এবং বিতরণ পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যে সকল এলাকায় মানুষের প্রবেশ অনেকটাই দূর্ভেদ্যে হয়ে থাকে সে সকল এলাকার ছবি এবং উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি তোলার ক্ষমতা তাদের অমূল্য হাতিয়ার করে তুলেছে।